ডেস্ক নিউজ
দীর্ঘ ছুটি আর করোনায় পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে চালু হয়েছে মনিটরিং সিস্টেম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেই মনিটরিং চালু হয়েছে। এখন থেকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মনিটরিং করা হবে। একই সাথে নিয়মিতভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদান কৌশল ও প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে তদারকি বাড়ানো হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষকদের পাঠদানের মান ও দক্ষতা যাচাইয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিশ্র পদ্ধতিতে (ভার্চুয়াল ও সরাসরি) মনিটরিং চালু করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করে এ বিষয়ে ‘বিলম্বে’, ‘অনিয়মিত’, ‘অননুমোদিত অনুপস্থিতি’ এবং ‘অদক্ষতা’র ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক নোটিশ জারি করা হবে। মান ও দক্ষতা যাচাই করে ইতোমধ্যেই কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের পঠন ও লিখন দক্ষতা যাচাই এবং শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে সেগুলোকেও তদারকির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন এখন থেকে মিশ্র পদ্ধতির পরিদর্শনে শ্রেণিওয়ারি ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ও প্রকৃত উপস্থিতি যাচাই করা হবে, নিশ্চিত করা হবে শিক্ষকের সংখ্যা ও উপস্থিতি। আর শ্রেণিওয়ারি শিক্ষার্থীর লিখন, পঠন ও গাণিতিক দক্ষতা যাচাই করা হবে। এ ছাড়াও আলাদাভাবে কারিকুলাম বিষয়ে শিক্ষকের ধারণা, শিক্ষকের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যে শ্রেণীতে যে বিষয়ে শিক্ষক পড়ান, তা শিক্ষক নিজে পড়েছেন বা আত্মস্থ করেছেন কি না তা যাচাই করা হবে। সাথে সাথে শিক্ষকের পাঠদান দক্ষতাও দেখা হবে। একই সাথে শ্রেণীর পাঠ্যবই শিক্ষক যথাযথভাবে পাঠ ও অনুধাবন করেছেন কি না পরিদর্শনে তাও দেখা হবে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরিকাল এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে দেখা হবে। এ ছাড়াও পরিদর্শন করা বিদ্যালয়ের সামগ্রিক মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে, লেসন প্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিত পাঠদান, শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সম্পর্ক এবং এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরো জানায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দক্ষতা বিচারে প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি মানে যেমন- নিম্নমান, চলতিমানের নিচে, চলতিমান, ভালো এবং অসাধারণ; এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিন্যাস, অন্য দিকে ছাত্রসংখ্যা, উপস্থিতি, পারস্পরিক দূরত্ব- এ সবের ভিত্তিতে স্কুল একীভূতকরণ কার্যক্রম এবং এক শিফটে স্কুল পরিচালনা করার বিষয়ে পরীক্ষার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।