ডেস্ক নিউজ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্ল্যান্ট থেকে ২০২৩ সালে উৎপাদন শুরু করার জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ রূপপুরের দ্বিতীয় ইউনিটে পরমাণু চুল্লী স্থাপন করা শুরু হয়েছে। করোনা মহামারির পর চলমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এড়িয়ে পুরোদমে কাজ চলছে দেশের সর্বোচ্চ অর্থায়নের এ প্রকল্পে। আগামী বছরই প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ার আশা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর।
২০১৪ সালের অক্টোবরে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা আনবিক শক্তি কমিশন রোসাটমের সহযোগিতায় এর নির্মাণ কাজ চলছে গত ৮ বছর ধরে। করোনা মহামারিতেও দেশি বিদেশি ২২ হাজার শ্রমিক দিনরাত কাজ করেছেন প্রকল্পে।
দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ম ইউনিটের ৭৫ ভাগ ভৌত কাজ শেষ হয়েছে। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লী স্থাপনকাজের উদ্বোধন করবেন। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ইউনিটের চুল্লীতে পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ইউরেনিয়াম লোড করার লক্ষ্য আছে।
প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬৫ কোটি ডলার। যার ৯০ ভাগ ঋণ হিসেবে দিয়েছে রাশিয়া। এ প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে সবশেষ পরমাণু সুরক্ষা প্রযুক্তি, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা যাবে শতভাগ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, সবশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে দুই ইউনিটে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হার্ট বলা হয় চুল্লীকে। রুপপুরের প্রথম ইউনিটে স্থাপনের একবছরের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটেও সেই চুল্লী স্থাপন করা হচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে এখান থেকে তুলনামূলক সাশ্রয়ী খরচে বিদ্যুৎ মিলবে।