ডেস্ক নিউজ
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা নিয়ে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ইআরভিএফবি) এক সেমিনারে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে জনগোষ্ঠীর ৩৬ শতাংশ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। একই সময়ে দেশের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ইআরডিএফবি সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ‘অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ নামে সংগঠনটির প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ্য এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান এ তথ্য তুলে ধরেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, এখানে বিভিন্ন শিক্ষক, গবেষক ও সমাজবিশ্লেষকের সমন্বয় ঘটেছে। এখানে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হবে তা হবে তথ্য ও গবেষণাভিত্তিক। এর ফলে দেশের প্রকৃত উন্নয়নের চিত্র সঠিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তুলে ধরা যাবে।
দেশে গবেষণা ও উদ্ভাবনে ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে বুদ্ধিদিপ্ত মানুষের মিলন ঘটে তার সাফল্য অনিবার্য। আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে কাজ করে যেতে হবে। শুধু সাংগঠিনক পর্যায়েই নয় বরং এ সকল মানুষ যেসকল প্রতিষ্ঠানে যুক্ত রয়েছেন সেখানেও তাদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আতিউর রহমান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সালে অদম্য অযাত্রার এক যুগে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৬৭ থেকে ৭৩ বহর হয়েছে। শিক্ষার হার ৫৬ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৭৫৯ ডলার থেকে আড়াই হাজার ডলার হয়েছে। রপ্তানি ১৫.৮ ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ ৯৬১ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫০৭ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা জানিয়ে বলেন, ২০২৬ সালে মাথাপিছু আয় বেড়ে ৪ হাজার ডলারের বেশ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে জিডিপির ৭৩ ভাগ আসছে ভোগ থেকে তা আরো ১২ শতাংশ বেড়ে যাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম কনজুমার মার্কেট হবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। মহামারিসহ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্র তুলে ধরে টেকসই পুনরুদ্ধারের পথনকশায় তিনি বলেন, কৃষি, প্রবাসী এসব রপ্তানিতে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান, বুয়েটের উপ উপাচার্য আবদুল জব্বার খানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।