ডেস্ক নিউজ
জ্বালানি সঙ্কটের মধ্যেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় গ্যাস-বিদ্যুৎ পাবে তৈরি পোশাক কারখানা। শুধু তাই নয়, পোশাকখাতে অন্যান্য সঙ্কট নিরসনেও পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল রাজধানীর উত্তরখানে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার প্রভাবে গেল মাস থেকে কমছে রফতানি আয়। আটকে গেছে রফতানি বিলও। এতে শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন মালিকরা। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশের তৈরি পোশাক খাতে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। একদিকে বিশ্বমন্দার কারণে কমছে ক্রয়াদেশ, অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।
এ অবস্থায় গেল ২ অক্টোবর জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেয় বিজিএমইএ। এর ১৮ দিন পর পোশাক খাতের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন সংগঠনটির নেতারা। বৈঠকে চলমান সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সরকারপ্রধান। এছাড়াও পোশাকখাতের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গেও বৈঠক করেছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএ বলছে, জুলাই থেকে কমছে পোশাকের রফতানি আদেশ। সেপ্টেম্বর থেকে কমছে রফতানি আয়। পরিসংখ্যান বলছে, গেল আগস্টে পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৩৭৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৬ কোটি ডলারে। চলতি মাসে রফতানি আয় আরও কমার আশঙ্কা। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, চলমান সঙ্কট দ্রুত মোকাবিলা করতে না পারলে বিশ্ববাজারে হুমকিতে পড়বে দেশের তৈরি পোশাকখাত। এসবের প্রভাব পড়ছে শ্রমিকদের চাকরি ও বেতন-ভাতার ওপর। তবে ছাঁটাই কিংবা বেতন-ভাতা নিয়ে যাতে কোনো অসন্তোষ তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে বিজিএমইএ সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।