ডেস্ক নিউজ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় এসব সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে যেসব এলাকায় ৮০ ভাগ আমন ধান পেকেছে সেগুলো কেটে নেওয়া পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়া সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে জরুরিভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট প্রদান এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত করে রাখা, যাতে করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করা যায়—এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।
উপকূলীয় এলাকায় ফসল ক্ষেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন করা এবং স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে প্রবেশ রোধ করতে হবে। অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। এসব বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালক (বীজ)-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাসমূহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকরা।