নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্ত্রী ও সন্তানদের নামে জমি লিখে না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে মোজাহার আলীকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ ড্রামের মধ্যে করে নলডাঙ্গায় ফেলে দিয়েছে তার স্ত্রী ও সন্তানরা। এমন অভিযোগ নিহত মোজাহার আলীর স্বজনদের। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ রাজশাহীর বাগমারার লকোপাড়া গ্রামে নিহতের বাড়ীতে অভিযান চালায় তবে সেই বাড়ী কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী,দুই ছেলে ও এক মেয়ে বাড়ীতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে বাড়ীতে মোজাহার আলীকে হত্যার পর বাড়ীতে থাকা ড্রামে মরদেহটি ভর্তি করে নলডাঙ্গা উপজেলার সেনভাগে সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে। এ ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে বুধবার বিকালে মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে আত্মীয়দের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের মামা আজিজ ও মামাতো ভাই মোতালেব নয়ন জানায়, নওয়াঁ জেলার আত্রাই থানার পরেশনগর দীঘিপাড়া গ্রামে মৃত মোসলেম আলীর ছেলে কৃষক মোজাহার আলী পারিবারিক কলহের স্ত্রীর সাথে বনিবনা হত না। এ কারনে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নিহতের মায়ের বাড়ীতে মায়েে সাথে নওগার আত্রাই থানার দীঘিপাড়া গ্রামে বসবাস করত। মোজাহার আলীর মা প্রায় দুই বছর পূর্বে বার্ধক্যজনিত করনে মারা গেলে স্ত্রী দুই ছেলে মেজবাহ,মেহিদী ও একমাত্র মেয়ে মৌসুমি দীঘিপাড়া বাড়ি থেকে বাবা মোজাহার আলীকে বুঝিয়ে রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার নখোপাড়া নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। নিজ বাড়িতে এনে জমি লিখে নিতে শুরু হয় নির্যাতন।বাধ্য হয়ে মোজাহার তার নামে থাকা ২০ বিঘা জমির মধ্যে ৬ বিঘা জমি দুই ছেলের নামে লিখে দেয়।এর আগে বিদ্যুৎ শট দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল স্ত্রী।গত সোমবার বিকালে মোজাহারের বাড়িতে চিৎকার চেচামেচির হয়েছে বলে আশে পাশের লোকজন শুনেছে।পরিবারের আত্মীয়দের ধারনা করছে বাকি জমি লিখে না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাড়িতে থাকা ড্রামে ভরে লাশ নলডাঙ্গা থানার সেনভাগে ফেলে গেছে।নলডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,মোজাহারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বাগমারার নখোপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী সন্তানদের কে পাওয়া যায়নি।বাড়িতে তালা লাগিয়ে সবাই পালিয়েছে।তবে কিছু আলামত পাওয়া গেছে।ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।ওই এলাকা থেকে একজন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।কিভাবে হত্যা করা হয়েছে পরিবার না অন্য কেউ হত্যা করেছে তা বের করার চেষ্টা চলছে।নিশ্চিত না হয়ে কিছুই বলা যাবে না।