নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ য় শ্রেণীর প্রভাতি শাখায় আলাদা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সাবা খান নামে এক শিক্ষার্থী তিনবার লটারীতে চান্স পেয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে টক অব দা নাটোর হয়ে উঠেছে। কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে সাবা খানের পিতা আলমগীর হোসেন কিছুই বলতে পারছেন না। তবে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ বর্তমান সময়ে কিভাবে একজন শিশু শিক্ষার্থী তার নামে তিনটি জন্ম নিবন্ধন পেল। শিক্ষার্থী সাবা খান নাটোর শহরের চকরামপুর মহল্লার আলমগীর হোসেন ও বিউটি খাতুন দস্পতির সন্তান। আর এ বিষয়ে বিদ্যালয় কতৃপক্ষও কিছু বলতেও পারছেন না। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলেন, এটা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কতৃপক্ষ বলতে পারবেন। আর এ বিষয়ে পরবর্তি সিদ্ধান্ত কি হতে পারে সে বিষয়েও তারা কিছুই বলতে পারবেন না।
ভর্তি লটারীতে চান্স পাওয়া ও না পাওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সাবা খান নামের ওই শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক চোরাই পথে জন্ম নিবন্ধন করে ভর্তির আবেদন করেছে। হয়তো আরো বেশী করেছে। তিনটি ধরা পরেছে তাই আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ওই অভিভাবকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করে শাস্তির ব্যাবস্থা করা প্রয়োজন। সরকারী স্কুলে ভর্তির জন্য অনেক অভিভাবক অনেক কৌশল অবলম্বরন করে থাকে। তাই বলে ভুয়া জন্মনিবন্ধন করে ভর্তির আবেদন করা কোন ভাবেই সঠিক নয়। এটা সরাসরি বেআইনী কর্মকান্ড। খোঁজ করলে হয়তো আরো কিছু বের হবে। শিক্ষা জীবনের শুরুতেই এই জাতিয় চুরি আগামিতে আরো কি হবে কে জানে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী সাবা খানের পিতা আলমগীর হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার মেয়ের ভর্তির জন্য তিনি দুইটি শাখায় দুইটি আবেদন করেছেন। কিভাবে তার মেয়ে তিনবার একই শাখায় একই শ্রেণীতে চান্স পেয়েছে তা তার জানা নাই। একাধিক জন্ম নিবন্ধন নম্বরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আজ নাটোরের বাহিরে রয়েছেন আগামিকাল নাটোরে ফিরে আপনার সাথে দেখা করছি।
এ বিষয়ে নাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ আইনুন নাহারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। কিন্তু এটা সেন্টার থেকে হয়ে এসেছে এখানে তাদের কিছুই বলার বা শোনার নেই। আগামিতে কি হবে বা হতে পারে সে বিষয়টির মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিষয়। তবে এখানে কিছু একটা হয়েছে।