নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের হয়বতপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের টিউবয়েলের পাশ থেকে ফরহাদ খন্দকার নামে এক কুলি শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার হয়বতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে টিউবয়েলের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফরহাদ খন্দকার একই এলাকার মসলুর উদ্দিনের ছেলে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী পরকিয়ার জেরে এটা পরিকল্পিত একটি হত্যা। তারা এই হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদেও বিচার দাবী করেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে ফরহাদ কাজের জন্য বাড়ী থেকে বের হয়। এরপর রাত ১২ টা বেজে গেলেও ফরহাদ আড়ীতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে শুরু করে। পরে ফরহাদের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার তাকে খুঁজতে বের হয়ে বাড়ীর পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে ফরহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার চিৎকারে গ্রাম পুলিশ সহ স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশকে খবর দেয়।
তারা জানায় ,একই এলাকার ফরহাদ শিকদার নামের এক যুবকের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনের সাথে ফরহাদের পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। ফরহাদ খন্দকার বৃষ্টি খাতুন (ফরহাদ শিকদারের স্ত্রীকে) নিয়ে এর আগে পালিয়ে বগুড়াতে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা ফরহাদকে বুঝিয়ে বৃষ্টি খাতুনকে ফরহাদ শিকদারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু এর পরেও ফরহাদ বৃষ্টি খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখত। এ ব্যাপারে প্রতিবেশীদের দিয়ে ফরহাদকে নিষেধ করার সত্বেও সে তাতে কর্ণপাত করেনি। তাদের ধারণা সেই ঘটনার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তারা।
লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজাজামান কালু জানান, পূর্ব ঘটনার জের ধরে হত্যা করে লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফেলে রেখে যায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি এ হত্যাকান্ডের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত করে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে আজ বুধবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত করে দেখা হবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে।