নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে কলেজ শিক্ষার্থী অপহরন ও ধর্ষনের মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় মামলা থেকে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নাটোর এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। মামলার রায় ঘোষনার সময় ৬ জন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং খালাস পাওয়া ব্যক্তি সহ ৫ জন পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেনীর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার পূর্ব পরিচিত ঘনিষ্টজন সাব্বির হোসেন। পরে তাকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামের একটি হলুদের জমিতে নিয়ে গিয়ে সাব্বির ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষন শেষে তারা চলে গেলে সকালে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাড়ীতে যায়। এরপর ঘটনাটি পরিবারের সকলকে জানালে তারা শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরের দিন শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ গাজী বিশ্বাস বাদী হয়ে সাব্বির হোসেন ও তার ১০ জন সহযোগীর নামে এবং অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক সময় মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আদালতের বিচারক অভিযুক্তদেও মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এ সময় একজনের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমান না পাওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন। মামলায় রায়ে উল্লেখ করেন জরিমানা অর্থ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পাবে।