নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাক্ষণবাড়িয়া গ্যাসফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক আলীর মৃত্যু নিয়ে নাটোরে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছে পরিবার ও স্বজনরা। নিহতের স্ত্রী ও সন্তানের দাবী সুদ ব্যবসায়ীর চাপে আত্মহত্যা করেছেন মোস্তাক আলী। কিন্তু নিহতের ভাইয়ের দাবী মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এজন্য তিনি নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে দায়ী করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোস্তাক আলীর মরদেহ নাটোর সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা পরস্পর বিরোধী এ দাবী করেন। একই সাথে স্বজনরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবী করেন। স্ত্রী বিলকিস বেগম জানান, বুধবার ব্রাক্ষণবাড়িয়া গ্যাসফিল্ড এলাকার ২ নং কোয়ার্টারের ভবনের বাথরুম থেকে অধ্যক্ষ মোস্তাক আলীর মরদেহ উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ। ওই কোয়ার্টারে পরিবারসহ বসবাস করতেন তিনি। নিজ গ্রামেরই সুদ ব্যবসায়ী রাজুর কাছ থেকে নেয়া ৬ লাখ টাকার বিপরীতে সুদ সহ ৮ লাখ টাকার জন্য অব্যাহত চাপ ছিলো। সেই টাকার চাপে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। আর নিহতের ভাই সাজ্জাদ হোসেনের দাবী তার ভাই আত্মহত্যা করতে পারেননা। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে অধ্যক্ষ মোস্তাকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করার দাবী জানান নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় পরিবার।