নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশীয় অস্ত্র রামদা ও চাইনিজ কুড়াল হাতে নাটোরের নলডাঙ্গা ইউএনও র গাড়ি চালক রুবেলকে ধাওয়া করলো উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব ও তার সমর্থক। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় আহসান হাবিব এবং তার এক সঙ্গী দুজনে মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি চালক মোঃ রুবেলকে অস্ত্র হাতে তাড়া করছে। সে সময় জীবন বাঁচাতে রুবেল ঊর্ধ্বশাসে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে।
রুবেল জানান, কিছুদিন আগে আহসান হাবীব তার ভাই খোকনের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নেয়। কয়েকদিন ব্যবহার করলেও আহসান হাবীব সেই ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেননি। আজকে এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি হঠাৎ করেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাইনিজ কুড়াল এবং রামদা নিয়ে তাড়া করে। আমি দৌড়ে গিয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, তিনি গাড়ি চালক রুবেলের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন। তার কার্যালয়ের ভিতরে তার গাড়ী চালকের ওপর এই ধরনের হামলা চালানো ব্যাক্তি যত বড় ক্ষমতাবান হোন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় রুবেলকে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শিরা জানান, হাবিব নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবী করে এই ধরনের অনেক অপকর্ম করে। আজ সরকারী অফিসে এভাবে অস্ত্র নিয়ে একজন সরকারী কর্মকর্তার গাড়ীর চালককে ধাওয়া দিল এতে সাধারণ জনগন আতংকিত হয়েছে। এই সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা করা উচিত। যেভাবে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করেছিল আজ যদি এখানে বেশী মানুষজন থাকতো তাহলে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে তারা জখম হত।
এ ব্যাপারে জানতে যুবলীগ নেতা আহসান হাবিবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি লোকমুখে বিষয়টি শুনেছেন। এ ছাড়াও অনেকেই তাকে মোবাইল ফোনে কল করেছে বিষয়টি নিয়ে। ভুক্তভোগী রুবেল থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।