নিজস্ব প্রতিবেদক:
সৌদি আরবে ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করা নাটোরের ওবাইদুলের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। নিহত ওবাইদুল ইসলাম নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৯ সালে সংসারের অভাব অনটন আর দুঃখ কষ্ট দুর কর করতে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানকার দামুদা শহরের আল-মানসুরা শিল্প এলাকায় একটি ফার্নিচার কারখানায় কাজ শুরু করে ওবাইদুল। সাত ভাই ও চার বোনের মধ্যে ওবাইদুল সবার ছোট। গত কয়েকদিন আগেও সে তার মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানিয়েছে সে এখন ভালো আছে। বিভিন্ন জনের থেকে টাকা ধার করে সে সৌদিতে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছে। সেখানে শ্রমিকের কাজ করে সে দেশের সবার পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে। এখন সে একটু সুখের মুখ দেখেছিল। বলেছিল কিছু টাকা জমাতে পারলেই দেশে আসবে মা সহ সবাইকে দেখতে। কিন্তু ভাগ্য তার সহায় হয়নি। আজ সকালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওবাইদুলের মৃত্যুর খবর পান তারা।
ওবাইদুলের বড় ভাই আইচান প্রামানিক ও বড় বোন নাসিমা বেগম বলেন, তাদের ভাই সরকারীভাবে কাজ করতে সৌদিতে গেছে। সৌদি আরবের পবিত্র মাটিতে তাদের ভাই মৃত্যুবরণ করেছেন। সৌদি আরবের পবিত্র মাটিতে তার দাফন করাতে চান তারা। সেই ব্যাবস্থা যেন সরকার করে দেয়।
প্রতিবেশী জয়নাল আবেদিন, আনোয়ার হোসেন সহ আরো অনেকেই বলেন, এতো অল্প বয়সে সে সংসারের জন্য বিদেশ পাড়ি দিয়েছে। বিদেশে যাওয়ার পর সে আর দেশে আসেনি একবারো। বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। ওবাইদুল ছোট বেলা থেকেই অনেক সৎ ছেলে। সে এভাবে মারা যাবে তা কেউ মেনে নিতে পারছেনা।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, তিনি লোকমুখে শুনেছেন এই দূর্ঘটনার খবর। তবে সরকারীভাবে তার কাছে কোন বার্তা আসেনি।