নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়ার শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আব্দুল কুদ্দুস নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। জরিমানার অর্থ শিশুর পরিবারকে দেওয়ার জন্য রায়ে উল্লেখ করা হয়।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ২০০৬ সালের ২০ জুন দুপুরে বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈর গ্রামের আট বছরের এক শিশু কন্যাকে বাদাম খাওয়ানোর কথা বলে আখ ক্ষেতে নিয়ে যায় প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুস। পরে সেখানে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য ধর্ষণের পর ওই শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আব্দুল কুদ্দুস। এদিকে দীর্ঘ সময় শিশুটিকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সহ প্রতিবেশীরা শিশুটির খোঁজাখুজি শুরু করে। এ সময় আব্দুল কুদ্দুসও তাদের সাথে খুঁজতে শুরু করে এবং বিভিন্ন দিকে তাদের নিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে সবাই। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রেখেছে সে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার এবং পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আব্দুল কুদ্দুসকে আসামি করে বাগাতিপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আব্দুল কুদ্দুস আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপন করেন। ১৭ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আদালতের বিচারক আব্দুল কুদ্দুসের অনুপস্থিতিতেই তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা রায় ঘোষনা করেন। সেই সাথে রায়ে উল্লেখ করেন গ্রেফতারের দিন থেকে তারা সাজা কার্যকর হবে এবং জরিমানার অর্থ শিশুর পরিবার পাবে।