নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধু সীমা খাতুন হত্যা মামলার পলাতক আসামী শ্বশুড় ইউসুফ প্রাং ও দেবর শিপন প্রাংকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। গতরাতে পাবনার চাটমোহর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, ১২ বছর পূর্বে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপুর গ্রামের ইউসুফ প্রাং এর ছেলে রতন প্রাং এর সাথে একই ইউনিয়নের রাণীগ্রামের সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সীমা খাতুনকে নির্যাতন করতো শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে সীমা খাতুন তার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়ে এসে দিয়েছে তাদের। এভাবে তাদের নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে সীমা খাতুন আর কোন টাকা এনে দিতে পারবেনা বলে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শ্বশুড় ও দেবর সীমা খাতুনকে মারধর করে। এ সময় সীমা খাতুন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষন পর সীমা বিষ খেয়েছে বলে বলে পুনরায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সীমা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সীমা খাতুনের ভাই রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে সীমা খাতুনের স্বামী,শ্বশুড়,দেবর সহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতরাতে পাবনার চাটমোহর থানার ছাইকোলা মিলনচর এলাকায় তাদের অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শ্বশুড় ইউসুফ প্রাং ও দেবর শিপন প্রাং কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের গুরুদাসপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।