নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ফজলুর রহমান ওরফে ফজল ডাক্তারকে কুপিয়েছে হেলমেট পরিহিত দুবৃর্ত্তরা। বৃস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করেন। আহত ফজলুর রহমান ফজল ডাক্তার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের নলডাঙ্গা উপজেলা সেক্রেটারী ও মাধবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক এবং পল্লী চিকিৎসক।স্থানীয়রা জানায়,বৃস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে নলডাঙ্গা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে ফজলুর রহমান ফজল ডাক্তার মোটরসাইকেল যোগে নলডাঙ্গা বাজার থেকে নিজ বাড়ি মাধবপুরে ফিরছিলেন। পথে হেলমেট পরিহিত ৪/৫ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা জামায়াত নেতা ফজলুল রহমানের পথরোধ করে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত ফজলুর রহমান ফজল ডাক্তারের ছেলে জুলফিকার আলী বলেন,আমার বাবা কে এমনভাবে কুপিয়ে দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে,পিঠের উপর চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে এখন জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানান। তিনি আরো বলেন এর দুইদিন আগে উপজেলার নরশৎপুর গ্রামের জামায়াতে ইসলামীর ওর্য়াড নেতা আলাদ্দিন ডাক্তারকে একই কায়দায় কুপিয়েছে দৃবুর্ত্তরা ও এক সপ্তাহ আগে বাঁশিলা গ্রামের ইসলামী বক্তা নুরশাতকে পিঠিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে হেলমেট পরিহিত দৃর্বুত্তরা। কিন্তু কোন ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,বাড়ী ফেরার পথে জামায়াতের সেক্রেটারীকে কুপানোর খবর পেয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। কারা কিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো জানা যায়নি