নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় ট্রাক হেলপাড় নুর ইসলাম হত্যা মামলার পলাতক আসামী দুলাল হোসেনকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতরাতে দিনাজপুরের বিরল থানার সেতারা বাজার নদীর পাড়ের একটি ব্লক বানানোর কারখানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতারকৃত দুলাল হোসেন পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার কেরানী পাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে।
নাটোর ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, গত ১২ অক্টোবর নূর ইসলাম ট্রাকে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। এরপর গত ২১ অক্টোবর বিকেলে নূর ইসলাম তার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে জানায় সে ট্রাক নিয়ে নাটোর থেকে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছে। কিন্তু এরপর থেকে নূর ইসলামের আর কোন খোঁজখবর পাওয়া যায়না এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গত ২২ অক্টোবর তেতুলিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে স্বজনরা জানতে পারেন নুর ইসলামের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে তারা নাটোরের সিংড়া থানায় পৌছে মরদেহ শনাক্ত করেন এবং ট্রাক চালক লাবু মিয়ার নাম সহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ লাবু মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে লাবু মিয়ার দেওয়া তথ্যমতে দুলালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। পরে পুলিশ দুলাল হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব এর সহযোগিতা চায়। এরই প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুলার হোসেনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতরাতে দিনাজপুরের বিরল থানার সেতারা বাজার নদীর পাড়ের একটি ব্লক বানানোর কারখানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সকালে তাকে সিংড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। উল্লেখ্য, নূর ইসলাম তার নিজস্ব ট্রাকে লাবু মিয়াকে চালক হিসেবে রেখে সে নিজে ট্রাকের হেলপারি করতো। গত ২২ অক্টোবর নুর ইসলামকে হত্যা করে নাটোরের সিংড়ার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জামতলী বাসষ্ট্যান্ডের পাশের ঝোপঝাড়ের মধ্যে নূর ইসলামের মরদেহ ফেলে রেখে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় চালক লাবু মিয়া ও দুলাল হোসেন।