নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুরে স্বাস্থ্যকর্মী মাহমুদা আক্তার বীথি হত্যার ঘটনায় প্রেমিক জাহিদ হাসান সাদ্দামকে বড়াইগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতরাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর কামারদহ এলাকায় তার বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাহিদ হাসান সাদ্দাম কামারদহ গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য কর্মি মাহমুদা আক্তার বীথির সাথে প্রায় ৬/৭ মাস আগে বীথি ও সাদ্দামের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বীথি ও সাদ্দাম গোপনে বিয়ে করে সংসার শুরু করে কিন্তু বীথিকে স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যায়না সাদ্দাম। পরে বীথি জানতে পারে সাদ্দামের ঘরে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এনিয়ে বীথি প্রতিবাদ শুরু করে এবং স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেয় সাদ্দামকে। কিন্তু সাদ্দাম টালবাহানা শুরু করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্ঠি হলে বীথিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে সাদ্দাম। সেই পরিকল্পনা থেকে বৃহস্পতিবার বীথিকে তার কর্মস্থল থেকে ডেকে নেয় সাদ্দাম। পরে বীথিকে নিয়ে হাটতে হাটতে হোফাকাটা মোড়ে আম বাগানের কাছে নিয়ে গিয়ে ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে আম বাগানে এক যুবতীর গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার এবং ঘটনাস্থল থেকে মানিব্যাগ ও জুতা আলামত হিসেবে জব্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনার সাথে সাদ্দামের সম্পৃক্ততা পায়। পরে পুলিশ সাদ্দামের মোবাইল নম্বর ট্যাক করে সাদ্দামের বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম বীথিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।