নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় স্বামী ফরহাদ হোসেনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। আসামী ফরহাদ হোসেন পলাতক থাকায় তার অনুপস্থতিতে রায় ঘোষনা করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত ফরহাদ হোসেন উপজেলার মুন্সি বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে। স্পেশাল কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ও মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বনকুড়ি গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে উপজেলার মুন্সি বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী ফরহাদ হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন শুরু করে। ঘটনা ফাতেমা তার বাবাকে জানালে তিনি বিভিন্ন সময়ে ৫০ হাজার টাকা এবং গরু বাছুর প্রদান করেন। এরপরও তাদের নির্যাতন ও দাবী কমেনা। এনিয়ে প্রায় তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই একপর্যায়ে ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে ফাতেমা বেগমকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী ফরহাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। ৮ ডিসেম্বর সকালে সংবাদ পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা। এ ঘটনায় মেয়ের স্বামী ফরহাদ হোসেনকে প্রধান করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ফাতেমার বাবা নুর ইসলাম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত করে পুলিশ ফরহাদ হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আসামীর অনুপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আরো উল্লেখ করা হয় জরিমানার অর্থ ভিকটিম গৃহবধুর মা বাবাকে দিতে হবে। মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাদী পক্ষ।