নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি ঘাসের জমি থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত নারীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত নারী নাহার বেগম গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু গ্রামের লোকমান সাকিদারের প্রথম স্ত্রী। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। গতরাতে উপজেলার সোনাবাজু গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে আজ সোমবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান র্যাব।এর আগে নিহত নাহার বেগমের স্বামী লোকমান সাকিদার ও তারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানান, গত ১৬ মে বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর মহল্লার একটি নেপিয়ার ঘাসের জমি থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মরদেহের আঙ্গুলের ছাপ থেকে পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহত নাহার বেগমের ভাই আজাদ প্রামানিক বাদী হয়ে ৭ জনের নাম ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ নিহতের স্বামী ও তার অপর স্ত্রী তারা বেগমকে গ্রেফতার করে। পরে হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাবের সহযোগিতা চায় মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। পরে র্যাব তাদের তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সোনাবাজু গ্রামে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং সেখানে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল,গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু গ্রামের শাহ মাহমুদের ছেলে মাজেম আলী ও মৃত ওসমান প্রামানিকের তিন ছেলে ফিরোজ হোসেন, শাহানুর রহমান ও আব্দুল মতিন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একটি জমি নিয়ে নাহার বেগম ও তার স্বামী লোকমান সাকিদারের বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে নাহার বেগমকে প্রায় মারধর করতো লোকমান সাকিদার ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর স্বজনরা। তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নাহার বেগম বাড়ী থেকে বেরিয়ে তার এক বোনের বাড়ীতে চলে যায়। পরে ১১ মে সেখান থেকে নিয়ে আসে নাহার বেগমের স্বামী লোকমান সাকিদার। এরপর থেকে নাহার বেগমের আর কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। পরে গত ১৬ মে বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ার একটি ঘাসের জমি থেকে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন নিহত নাহার বেগমের ভাই ও স্বজনরা। দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়।