ডেস্ক নিউজ
দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কাউন্সিল নেই বিএনপির। সর্বশেষ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। তিন বছর মেয়াদি কমিটি সাত মাস ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ। এমন প্রেক্ষাপটে ধ্বসে পড়া বিএনপিকে চাঙ্গা করতে সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিলেও তা পণ্ড হয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, এ বছর আর কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
কিছুদিন আগেও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, শিগগিরই তারা দলের সপ্তম কাউন্সিল করবেন। কিন্তু দলের হাইকমান্ড এখন সেই অবস্থান থেকে সরে গেছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা এখন বলছেন, কাউন্সিল করতে আরও কিছুদিন লাগবে। সার্বিক প্রস্তুতি নেই। বেগম জিয়া এখনো কারাবন্দী। তার মুক্তি না হলে আপাতত কাউন্সিল থেকে বিরত থাকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
যদিও পদ আঁকড়ে ধরে রাখার কৌশল থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে কাউন্সিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মনে করছেন তৃণমূলের নেতারা। তারা বলছেন, দল এখন ব্যক্তিস্বার্থ সিদ্ধির স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে পদ ছাড়তে রাজি নয় কেউই। আর সে কারণেই কাউন্সিল নিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে গুটিকতক শীর্ষ নেতা।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে যে, কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও সবার মন রক্ষা করতে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা।
জানা যায়, কোনো কারণে বিএনপি কাউন্সিল করতে না পারলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অসম্পূর্ণ পদগুলো পূরণ করা হবে। বিএনপির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে বর্তমানে সক্রিয় মাত্র আটজন। শূন্যপদই আছে তিনটি। ভাইস চেয়ারম্যান পদও বেশ কয়েকটি শূন্য। নির্বাহী কমিটিতে কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে। কোনো কারণে কাউন্সিল না হলে এগুলো পূরণ করা হবে। এমন নিশ্চয়তাকেও তৃণমূল মিথ্যে আশ্বাস ও কাউন্সিল না করার বাহানা হিসেবে দেখছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির সর্বপ্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয়টি ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় ’৮৯ সালের মার্চ, চতুর্থ ’৯৩ সালের সেপ্টেম্বর, পঞ্চম ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ।