ডেস্ক নিউজ
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ক্রমেই মান হারাচ্ছে বাংলাদেশি টাকা। এর ফলে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় আসাও কিছুটা বেড়েছে। মূলত বেশি টাকা পাওয়ার আশায় প্রবাসীরা আবারও বৈধ চ্যানেলে ফিরে আসছেন। চলতি মাসে ২৬ দিনে প্রবাসীরা ১০৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত এপ্রিলের শুরুতে প্রতি ডলারের আন্তব্যাংক গড় মূল্য ছিল ৭৯ টাকা ৬৮ পয়সা। চলতি মাসে শুরুতে প্রতি ডলারের আন্তব্যাংক গড় মূল্য বেড়ে হয় ৮০ টাকা ৩৫ পয়সা। তবে গতকাল তা বেড়ে হয় ৮০ টাকা ৫৩ পয়সা।
ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হয়ে পড়ায় বেশি মুনাফা পাচ্ছেন প্রবাসী আয়ের সুবিধাভোগীরা। এ কারণে প্রবাসীরাও ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন।
সূত্রমতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ১০০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ৯৪ কোটি ডলার, মার্চে ১০৭ কোটি ডলার ও এপ্রিলে আসে ১০৯ কোটি ডলার। তবে চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনেই প্রবাসী আয় এসেছে ১০৪ কোটি ডলার। মাস শেষে প্রবাসী আয় ১১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। যদিও গত বছরের মে মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১২১ কোটি ডলার। চলতি মাসের ২৬ দিনে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ২২ কোটি ডলার, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বৈধ ও অবৈধ চ্যানেলে ডলারের বিনিময়মূল্যের পার্থক্য কমে এসেছে। এ ছাড়া কয়েকটি দেশে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। প্রবাসী আয় বিতরণের সঙ্গে যুক্ত দেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কিছু এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে প্রবাসী আয় আবারও বাড়তে শুরু করেছে।