ডেস্ক নিউজ
বিএনপি নেতাদের বিনোদন, ক্যাসিনো, জুয়ার আড্ডা ছিলো বিতর্কিত চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের রাজধানী গুলশানের বাসা। সারাদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার পর সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ও যুবদলের কিছু নেতা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসায় মদ, জুয়া ও ক্যাসিনো খেলায় মেতে উঠতেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসা থেকে আটক দুই কর্মচারী নবীন ও পারভেজের বরাতে এমন তথ্য জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া প্রাথমিক তথ্যে নবীন ও পারভেজ এমনটাই স্বীকার করেছেন।
আটক নবীন ও পারভেজের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, বিতর্কিত আজিজ মোহাম্মদ ভাই অতীতে বিএনপির ডোনার হিসেবে দলটিতে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তার সহায়তায় বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসনামলে দলটির একাধিক মন্ত্রী ও এমপি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাজ্যে কালো টাকা পাচার করে বিনিয়োগ করেন। এমনকি বর্তমানে লন্ডনে তারেক রহমানের জীবনযাপনের যে অর্থ খরচ হয় তার অর্ধেক ব্যয়ভার বহন করতেন আজিজ। এমন তথ্যটি বিএনপির রাজনীতিতে ওপেন সিক্রেটের মতো।
জানা যায়, সর্বশেষ দেশত্যাগের পর আজিজ ভাইয়ের গুলশানের বাসাটি বিএনপি নেতাদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। সেখানে দলটির সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মতো সিনিয়র নেতা নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এছাড়া যুবদলের বর্তমান সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের একাধিক নেতাও আজিজ ভাইয়ের আড্ডাখানায় যাতায়াত করতেন। সন্ধ্যার পর তারা মদ, জুয়া, ক্যাসিনো খেলায় মেতে উঠতেন বলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়েছেন আটক নবীব ও পারভেজ। দলীয় আলোচনা করা, রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করার আলোচনায় তারা প্রায় প্রতিদিন এখানে নেশা ও জুয়ায় মেতে উঠতেন বলেও জানায় তারা।