ডেস্ক নিউজ
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সম্প্রতি তার ইউরোপ সফরে জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জেএমবিএইচের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্ট জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল( কিন্তু সেটা দেরি হচ্ছে ইউরোপ সফরকালে আমি জার্মানিতে যাই। সেখানে ভেরিডোস জেএমবিএইচের সঙ্গে আলোচনা হয়।)
তিনি বলেন, সেখানে আমাদের প্রবাসীরাও দাবি করেছেন, যাতে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্টের মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। এতে প্রবাসীদের সুবিধা হবে। কারণ, তারা অভিযোগ করেছেন, পাসপোর্ট নবায়ন করতে নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়।
ড. মোমেন বলেন, আমি মনে করি নতুন পাসপোর্ট দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া উচিত। আর নবায়ন করার ক্ষেত্রে আরও কম সময় লাগা উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিআইপি) তৈরি থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতর। বর্তমান এমআরপি ব্যবস্থা থেকে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝামেলাবিহীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন।
কারণ ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে। ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকবে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।
ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশও। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য।
ই-পাসপোর্ট একবারে ১০ বছরের জন্য দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রধান কার্যালয়সহ ঢাকার তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। এরপর সারা দেশে ও পরে বিদেশ থেকেও ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে।