ডেস্ক নিউজ
গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সুপেয় পানি পৌঁছানোর কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। টেকসই উন্নয়নের অন্যতম একটি বিষয় হলো ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে সুপেয় পানি পৌঁছানো। সে লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা এ কাজ করছি। এরই মধ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর এক হোটেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমঝোতার আওতায় এখন থেকে ঢাকা ওয়াসার নারায়ণগঞ্জ মডস জোন পরিচালনা করবে নাসিক। আগামী এক বছর ঢাকা ওয়াসা জনবল এবং কারিগরি বিষয়ে নাসিককে সার্বিক সহযোগিতা করবে। এতে নাসিকের পক্ষে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ঢাকা ওয়াসার পক্ষে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, একটা সিটি করপোরেশনের প্রধান কাজ সেবা দেওয়া ও রাজস্ব আদায় করা। কিন্তু সেবা দিলেও রাজস্ব আদায় সেভাবে করতে পারে না। কারণ মেয়রদের সঙ্গে নাগরিকদের দূরত্ব বেশি। মেয়ররা যদি নাগরিকদের বুঝিয়ে বলেন যে, আমি আপনাদের কম টাকায় বর্জ্য, রাস্তাঘাট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ নানা রকম সেবা দিয়ে থাকি। আপনারা যদি ব্যক্তিগতভাবে একজন পরিচ্ছন্নকর্মী, বর্জ্য ফেলার জন্য কর্মীসহ প্রতি খাতে আলাদা লোক রাখেন, তাহলে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। সে সেবাটা আমরা কম টাকায় দিচ্ছি। তাহলে আমাদের রাজস্বটা কেন দিচ্ছেন না। এভাবে যদি নাগরিকদের বুঝিয়ে বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদী নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজস্ব পরিশোধে অংশগ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে শুনেছি, পৌরসভাগুলো কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না। এখন সে কথাটা অনেকটা কমে এসেছে। কারণ আমি তাদের কিছু সিস্টেম শিখিয়ে দিয়েছি।’
নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘ওয়াসার ব্যবস্থাপনা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন আওতায় আসবে এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বিভিন্ন সংগঠনেরও দাবি ছিল। দাতা সংস্থাগুলো আমাদের সঙ্গে এখন যোগাযোগ করছে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। পানি ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প চলছে। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীর সহায়তা আমাদের অনেক প্রয়োজন হবে। আগের মতো ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’