ডেস্ক নিউজ
নিজ ঘরের খোঁজ না রেখে অন্যের ঘর নিয়ে মাথা ঘামাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-রব) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। জেএসডির কার্যক্রমে মনোনিবেশ না করে ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে মাতামাতি, স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব এবং বিভিন্ন কমিটিতে স্বজনপ্রীতির কারণে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যেকোন সময়ে ভেঙ্গে যেতে পারে জাসদ।
জাসদের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দলটির আগামীর নেতৃত্ব, রাজনৈতিক লক্ষ্যস্থির করা, বিভিন্ন কমিটিতে স্বজনপ্রীতি ও স্বৈরাচারী মত পোষণের কারণে রবের সাথে দূরত্ব বেড়েছে মালেকের। ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিচ্যুতির কারণেই মূলত দলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চার বছর যাবত দলটির কোন গঠনতন্ত্র নেই। এছাড়া জাসদের কার্যক্রমে মনোযোগ না দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাঝে মতবিরোধ ও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
ভাঙ্গন প্রসঙ্গে জানতে জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ নিয়েই বলেন, এভাবে একটি রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। নিজের ঘরের খোঁজ না নিয়ে অন্যের ঘর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রব। এছাড়া এখন পর্যন্ত যেসব কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সবখানে তিনি তার আত্মীয়-স্বজনদের বসিয়েছেন। জাসদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে তার কোন ধরণের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। তিনি পড়ে আছেন ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে। আমার ধারণা, ড. কামাল কিংবা অন্যকোন সোর্স থেকে তিনি বিপুল অর্থ পান যার কারণে ঐক্যফ্রন্টের মতো বৃদ্ধাশ্রমে তিনিও জায়গা পাকা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরো বলেন, নিজের ঘরে আগুন লাগলেও তা নেভাতে কোন রকম প্রয়াস চালাচ্ছেন না রব। আমার ধারণা, বিশেষ কোন প্রলোভনে পড়ে রব এমন স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করছেন। সারাদিন স্বৈরাচার পতন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির কথা বললেও জেএসডির রাজনীতিতে তার মতো দ্বিচারি ও স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ আর দ্বিতীয়টি দেখিনি। তার মতো লোভী ও প্রতারকের সাথে অন্তত আমি আর রাজনীতি করতে চাই না।
এদিকে জেএসডির ভাঙ্গন ও চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে রবের মতামত জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন এবং পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেই ফোন কেটে দেন।