ডেস্ক নিউজ
বিতর্কিত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দেশ ছেড়ে বিদেশে নিজের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পাড়ি জমালেও তার সামনে হাজির হয়েছে নতুন এক বিপত্তি। যেকোনো সময় তার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে চিন্তিত তার পরিবারের সদস্যরাও।
তার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহার) যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। এদিকে আলোচিত মামলাটির তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ফলে তার যাবজ্জীবন সাজা প্রায় নিশ্চিত।
তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) ঋণ জালিয়াতি এবং চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছাড়াও আরও ১০জনকে এ মামলাকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকেরই রয়েছেন ৬ জন। আর ১০৯ ধারায় অপরাধে সহায়তা করা প্রমাণিত হলে অপরাধ সংঘটনকারীর অনুরুপ সাজা ভোগ করতে হবে।
চলতি বছরের ১০ জুলাই দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলাটি করা হয়। দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২), (৩) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ব্যবসায়ী পরিচয়ে দুই ব্যক্তির নেয়া ঋণের চার কোটি টাকা বিচারপতি সিনহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।