ডেস্ক নিউজ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ ২২ বছর আগে ১৯৯৭ সাল পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত থাকা সংগঠনগুলোর সাথে আওয়ামী সরকার শান্তিচুক্তি করে। পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়। এছাড়াও ‘আমরা পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বনায়ন, জীববৈচিত্র্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক ‘পর্বত দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত দিবস উপলক্ষে আলোচনায় এইসব তথ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবারে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘মাউন্টেন্স ম্যাটার ফর ইয়ুথ।’
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও মানুষের অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা অন্যদিকে বন উজাড়, এ দুইয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজকে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া একান্ত জরুরি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করেছি। এই চুক্তি এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়াও দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পর্বতারোহীদের সংগঠনগুলো।
গত ২ ডিসেম্বর দেশে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্তি পালিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, পার্বত্য শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের কাজ শেষ হয়েছে। ১৫টি ধারার আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৯টি ধারা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য জেলাগুলোর প্রশাসনিক ৩৩ বিভাগের মধ্যে ১৭টি বিভাগ জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেছে সরকার।