ডেস্ক নিউজ
সত্য মিথ্যার যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’’ – প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে তৃতীয়বারের মতো উদযাপিত হচ্ছে “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’’। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সারা দেশে একসাথে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।
দিনব্যাপী নানা উদযাপনের মধ্যে রয়েছে, একযোগে ৬৪ জেলায় ও ৪৯২টি উপজেলায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা ও সেমিনার। এছাড়াও বিকেলে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ‘কনসার্ট ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ইত্যাদি। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কমাল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মূলত ২০১৭ সালের আগে এই দিবসটির নাম ছিল ‘আইসিটি দিবস’ বা ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর আওয়ামী সরকার এ দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দেয়। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আইসিটি দিবসের পরিবর্তে এ দিনকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয়।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালের মাঝে ২১ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি প্রান্তিক পর্যায়ের সেবাকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে ইউনিয়নে স্থাপন করা হয় ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্র। যেখানে মানুষ চাইলে শুধুমাত্র মোবাইল ফোনকলের মাধ্যমেই বিভিন্ন সেবা নিতে পারবে। প্রতিটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল আইসিটি ল্যাব। যেখানে বিনা খরচে শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান নিতে পারছে। প্রতিটি জেলায় উপজেলায় সরকারী ও বেসরকারিভাবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। মানুষের হাতের নাগালে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে, ইন্টারনেট, মোবাইল ও কম্পিউটারের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে। ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির লক্ষে যুক্ত হয়েছে ২য় সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে এবং সর্বশেষ ১১ মে ২০১৮ তারিখ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ।