নাটোরের নলডাঙ্গায় চুরির ভয়ে রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন চাষীরা। এর মধ্যে ক্ষেতের নতুন পেঁয়াজ হাটে বাজারে উঠতে শুরু করায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবী আর এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু করলেই বাজার দর আরোও অনেকটাই নেমে যাবে।
পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে ক্ষেতেই পাহারার এ দৃশ্য নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের তেঘরিয়া এলাকার। পেঁয়াজের ক্ষেতে পাশে তৈরি হয়েছে পাহারা ছাউনি। বাজারে দাম বেশি তাই চুরির ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে চাষীরা। রাত জেগে পাহারা দেওয়ার কষ্ট থেকে রক্ষা পেতে ও ভালো দাম পাওয়ার আশায় অনেকে চাষী অপরিপক্ত পেঁয়াজ উত্তোলন করছেন। এতে ফলন কম হলেও বাজারে ভালো দাম পাচ্ছে তারা। ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ যাচ্ছে হাট বাজারে,তাই দর কমতে শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। নাটোরের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের হাট বসে নাটোরের নলডাঙ্গায়। সেই নলডাঙ্গার গত শনিবারের হাটে পাইকারী প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও পরের মঙ্গলবার হাটে বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা দরে। নওগার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম জানান, আর কয়েকদিনের মধ্যে কমে যাবে পেঁয়াজের দাম। রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দেওয়া পেঁয়াজ চাষী আনারুল ইসলাম জানান, অনেক কষ্ট করে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। বাজারে ভালো দাম থাকায় যদি কষ্টের উৎপাদিত পেঁয়াজ রাতের অন্ধকারে চোর চুরি করে নিয়ে যাবে সেই ভয়ে ক্ষেতের পাশে ছোট ছাউনী তৈরি করেছেন তিনি। সেই ছাউনীতে বৈদ্যতিক দুটি বাতি জালিয়ে গত ১৫ দিন আগে থেকে পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন। সোনাপাতিল গ্রামের আরেক চাষী শহিদুল ইসলাম জানান, সারাদিন মাঠে ঘাটে কাজ করে চুরিরোধে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা সত্যিই অনেক কষ্টের কাজ। তবুও ফসল চুরি থেকে রক্ষা পেতে এভাবেই পাহারা দিতে হবে তাদের।
চাষী মানিক সরদার জানান, তার জমির পেঁয়াজ যেন কেউ চুরি করতে না পারে এ জন্য পালা করে পাহারা বসিয়েছেন তিনি।
নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, এবার উপজেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে চাষীরা রাতে ক্ষেতেই পাহারায় থাকছেন।