ডেস্ক নিউজ
আর মাত্র ২ দিন পরেই দেশের অন্যতম প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে। আগামী ২০-২২ ডিসেম্বর ৩ দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ও তার আশেপাশে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। নেতাকর্মীদের মাঝে অন্যরকম আনন্দ বিরাজ করছে।
দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগের চাইতে অপেক্ষাকৃত তরুণ, ত্যাগী ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরই স্থান দেওয়া হবে আগামী দিনের কমিটিতে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের বিভিন্ন সময় দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতারা।
ধারণা করা হচ্ছে দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসা অর্জনের জন্য দলের ভেতরে অবস্থান করা দুর্নীতিবাজ ও অনুপ্রবেশকারীদের নির্মুল করতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দলের সভাপতি। গত নভেম্বর মাসে দলের কয়েকটি সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আসে। এছাড়াও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদে ২৯টি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্বচ্ছ ও ত্যাগী নেতাদের ঠাঁই হয়েছে। কোনো কোনো জেলায় পুরানো নেতাদের বহাল রাখা হলেও কোথাও কোথাও নতুন নেতৃত্ব এসেছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, ২০তম সম্মেলনে ১৭ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের মধ্যে ৭ জন এসেছিলেন বিদায়ী কমিটি থেকে। ওই কমিটিতে নতুন মুখ এসেছিল অন্তত ৬ জন। বাদ পড়েছিলেন দুই জন। এবার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে অন্তত ৭-৮ জনের স্থান হতে পারে উপদেষ্টা পরিষদে। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত বয়োজ্যেষ্ঠ ও যারা শারীরিকভাবে দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হিমশিম খাচ্ছেন, তাদের সম্মানার্থে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। দলের ৩৪ সদস্যের সম্পাদকমণ্ডলী থেকে পদোন্নতি পেয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হতে পারেন অন্তত আধডজন নেতা, যাদের দীর্ঘদিন যাবত সাংগঠনিক রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ওবায়েদুল কাদের বলেন, ‘একটা পদে কোনো পরিবর্তন আসবে না। সেটা হচ্ছে আমাদের পার্টির সভাপতির পদ। দেশরত্ন শেখ হাসিনা ছাড়া আমরা কেউই অপরিহার্য নই। তিনি এখনও আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক অপরিহার্য। তৃণমূল পর্যন্ত সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। এর পরের পদটা কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট করে দেয়। সেটাও তিনি (সভাপতি শেখ হাসিনা) ভালো করে জানেন।’