ডেস্ক নিউজ
বিভিন্ন ইস্যুতে ধরাশায়ী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। মহাসচিব পদে থেকেও দলের জন্য তিনি কোনো বিশেষ অবস্থান তৈরি করতে না পারায় মির্জা ফখরুলের ওপর বিরক্ত খোদ তারেক রহমানও। এমন প্রেক্ষাপটে নবীন নেতাদের দ্বারা অবমূল্যায়নের শিকার হতে হয়েছে তাকে। এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। বলা হচ্ছে, মহাসচিবের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করতেই মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এমন করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নেতাদের ভিড়ে ট্রাকের অস্থায়ী মঞ্চে না উঠেই বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রার উদ্বোধন করতে হয়েছে তাকে। ওইদিন বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় র্যালি শুরু হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ উপলক্ষে একটি ট্রাকে প্যান্ডেল বানিয়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়। ট্রাকের দুই দিকে দুটি মাইক লাগানো হয়।
দুপুর ১টার পর ট্রাকে উঠতে শুরু করেন নবীন নেতারা। ছোট ট্রাকে নেতাদের ভিড়ে সিনিয়র নেতারা উঠার সাহস পাচ্ছিলেন না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থান করছিলেন। মঞ্চে নবীন নেতাদের ভিড় দেখে তারা খবরও পাঠান মঞ্চ খালি করতে। কিন্তু দেখা যায় ট্রাকে নবীন নেতারা আরও উঠছেন, সঙ্গে কর্মীরাও উঠছেন। যে পরিস্থিতিকে পরিকল্পিত বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
ট্রাকে নবীন নেতাদের ভিড়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুকেও দেখা গেলেও কেও চেয়ার ছাড়ছিলেন না। একপর্যায়ে চেয়ারে বসা এক নবীন নেতা উঠে তাকে জায়গা করে দেন। জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন দাঁড়িয়ে থাকেন, অথচ চেয়ারে বসে ছিলেন নবীন একাধিক নেতা।
এ রকম অবস্থা দেখে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ‘ওরা তো নামছে না। এত ভিড়ে উপরে উঠার প্রয়োজন নেই। চলেন আমরা নিচেই দাঁড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করি। ওরা অন্তত শরম পাক।’
পরে ২টা ৫০ মিনিটে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মঞ্চে না উঠে ট্রাকের সামনে এসে দাঁড়ান। সেখান থেকে তারা বক্তব্য দিয়ে র্যালির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কেউ কথা না বললেও গুঞ্জন উঠেছে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে অবমূল্যায়িত করতেই তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে।