নাটোরের সিংড়া উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরানের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানদের হট্টগোল হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলা হলরুমে এই ঘটনা ঘটে। পরে ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সূত্র জানায়, রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আইনশৃংঙ্খলা কমিটির সভা থেকেই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরানের সাথে বাকবিতন্ডা চলে আসছিল ইউপি সদস্যদের।
আইন-শৃংঙ্খলা সভা শেষে সেখানেই উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত। এই সভায় তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন সেচের মিটার নিয়ে দিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের দালালরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এসময় এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান।
এসময় উভয়ের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়। বেশ কয়েক মিনিট হট্টগোল চলার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ সভায় সিংড়া থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজি, চৌগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, কলম ইউপির চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনু সহ ইউপি চেয়ারম্যান এবং সরকারী সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান বলেন, অপ্রাসংঙ্গিক ভাবে তাজপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করে। এসময় আমি প্রতিবাদ করে তাদের বলেছি, উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বললে ভাল হয়। এ নিয়েই ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে হট্টগোল হয়েছে। তাছাড়া যে ১২৩টি আবেদন পড়েছিল, বিএডিসিতে সবগুলোই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো হট্টগোলের কথা স্বীকার করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানদের হট্টগোল হলে আমার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মিটিংয়ে দায়িত্বশীল আচরণ না করলে সভার পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্ত থাকে না। এজন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে মিটিং শেষ করেছি।