ডেস্ক নিউজ
লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দায়িত্ব ছেড়ে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সোমবার এক সেমিনারে জাফরুল্লা তারেক জিয়াকে স্কাইপের মাধ্যমে ওহি পাঠানো বন্ধ ও পড়াশুনা করে শিক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দেন। এই পরামর্শে বিএনপি নেতাদের মনে খুশির জোয়ার বইছে। পরামর্শ মেনে তারেক স্কুলে ভর্তি হয়ে শিক্ষিত মানুষের মতো দল পরিচালনা করবেন বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
খালেদা জিয়ার কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত জাফরুল্লাহর এমন বক্তব্যে খোদ বিএনপি মহলেই প্রশ্ন উঠছে, তারেক কি এতই অশিক্ষিত? না হলে কেন তারেককে স্কুলে ভর্তির পরামর্শ দিলেন জাফরুল্লাহ? এই ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, তারেক রহমান দলের জন্য কিছুই করছে না। আল কায়েদা জঙ্গিদের মতো লন্ডনে বসে স্কাইপিতে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দল পরিচালনার চেষ্টা করছেন। তার একের পর এক ভুল ও হাস্যকর সিদ্ধান্তে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিপদে পড়েছে। দুর্নীতি মামলায় জেল খাটা দলের নেত্রী ও তার মাকে মুক্তির জন্যও কোনো চেষ্টা করতে দেখা যায়নি তাকে।
তারেকের এমনসব কাণ্ডজ্ঞানহীন ওহীর জ্বালায় বিরক্ত বিএনপির বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে নেতা কর্মীরা। তাদের সম্মিলিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জাফরুল্লাহর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এজন্য দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলার পর উপস্থিত কর্মীরা হাত তালি দিয়ে তারেকের পদত্যাগের দাবীর প্রতি সংহতি জানান।
দায়িত্ব ছেড়ে স্কুলে ভর্তির পরামর্শ কেমন চোখে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে যুবদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এইট পাস। তার জন্মদিনের ঠিক নেই। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল হয়। আমাদের নেতারও পড়াশুনার দৌড় খুব সীমিত। এত অল্প পড়াশুনা নিয়ে যে দলের চেয়ারম্যান হয় সেই দলের নেতা কর্মীদের সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়। এখন একজন কৃষকের ছেলে, রিকশাওয়ালার ছেলেও মাস্টার্স পাশ করে। আর একটা দলের প্রধান অনার্স পাশ করতে পারে নাই। এটা খুবই লজ্জার। ফলে আমি মনে করি বতারেক জিয়ার জাফরুল্লাহর পরামর্শ মেনে স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনায় মনোযোগ দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
জাফরুল্লাহ ছাড়াও লন্ডন থেকে তারেকের দল পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান। তিনি দল থেকে পদত্যাগও করেছেন। আরেক নেতা দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খানও দল থেকে পদত্যাগের পর তারেক রহমানের এই স্কাইপের মাধ্যমে দল পরিচালনার সমালোচনা করেন।