ডেস্ক নিউজ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির পাশাপাশি স্কুলব্যাগ, স্কুল ড্রেস ও জুতা কেনার টাকাও দেবে সরকার। বছরের শুরুতেই নতুন বইয়ের পাশাপাশি শিশুদের এসব শিক্ষা সহায়ক উপকরণ কেনার জন্য ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। মুজিববর্ষ থেকেই দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী এই সুবিধা পাবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংসদকে এ তথ্য জানান। বিকেল ৪টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল যাওয়ার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রত্যেকের জন্য বছরের শুরুতে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ (ড্রেস, জুতা, ব্যাগ) কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সরকার সচেষ্ট। সে কারণেই প্রতিবছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়া হয়, উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। এর বাইরেও প্রতিবছরের শুরুতে এককালীন ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে তাদের। প্রকল্পটির মূল্য লক্ষ্য— দরিদ্র পরিবারগুলোও যেন সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক উপকরণ কিনতে পারে এবং শিশুরা আনন্দের সঙ্গে স্কুলে যেতে পারে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৩৫ শতাংশ ৩ হাজার ৭১৬টি শূন্য পদে ৩৭তম বিসিএস থেকে পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগের জন্য পিএসসি’র সুপারিশ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতিযোগ্য শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতি বা চলতি দায়িত্ব প্রদানের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
সরকারি দলের আরেক সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ (২০১৮ সালের) তথ্য অনুযায়ী, দেশের সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশের সাক্ষতার হার বাড়াতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
পরে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছিল। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, সিটিং কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে তার ওপর আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনার পর সংসদের মুলতবি ঘোষণা করা হবে।