নাটোরে দুই আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মিকে কুপিয়ে জখম করেছে যুবলীগ কর্মিরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নাটোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মিঠু ও আওয়ামী লীগ কর্মি ও সদর উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক রোকন প্রামানিক। এদিকে আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা।
স্থানীয়রা জানান, নাটোর সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামের যুবলীগ কর্মী জালাল, আলাল ও নাছির একটি গ্রাম্য সালিশে হট্টগোল করে। এসময় তাদের বাধা দিলে যুবলীগ কর্মিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন ও রোকন প্রামাণিককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম জানার , সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামের বেলাল হোসেনের সাথে একই এলাকার মোতালেব হোসেনের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর এক পর্যায়ে গতকাল সোমবার রাতে মোতালেব হোসেন একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিনের চোখে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এ বিষয়ে বেলাল হোসেন অাজ মঙ্গলবার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় একটি সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে দুই পক্ষের মধ্য মারামারি হয়েছে। এতে দুই জন আহত হয়। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আহত মোয়াজ্জেম হোসেন মিঠু বলেন, বেলাল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিনের চোখে আঘাত করা নিয়ে এলাকায় মীমাংসার জন্য স্থানীয়রা একটি বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালীন সময়ে যুবলীগ কর্মি জালাল, আলাল ও নাসির মোতালেবের পক্ষ নিয়ে হট্টগোল শুরু করে। বিষয়টি থামাতে গেলে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারা দুজন আহত হয়।