ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের সুলতান সালাউদ্দিন ইবনে বদলী শাহ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সুলতানের আমন্ত্রণে তার রাজকীয় প্রাসাদে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সুলতান এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ সময় হাইকমিশনার আর্থসামাজিক সকল সূচকে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য সম্পর্কে কেদাহ সুলতানকে জানান। তিনি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুলতান পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১১ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতি মানবতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন; এর সাধুবাদ জানিয়ে সুলতান তার অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন।
সুলতান এ সংকট মোকাবিলায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশের পাশে আছে এবং সবসময় থাকবে বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি, যাতে বাস্তুচ্যুত এ জনগোষ্ঠী নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন।
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিকর্মীদের প্রশংসা করে সুলতান বলেন, তারা অত্যন্ত কর্মঠ, বিনয়ী ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি মালয়েশিয়ার উন্নয়নে বাংলাদেশিকর্মীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। সুলতান আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে এবং দুই দেশের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য গ্যাপ অনেক বেশি এবং এটি মালয়েশিয়ার অনুকূলে। বাংলাদেশি পণ্য বেশি বেশি প্রবেশাধিকার দিলে এ বৈষম্য কমে যাবে।
এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে মালয়েশিয়া সরকারের নেয়া উদ্যোগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন হাইকমিশনার।
বৈঠকে হাইকমিশনারের সঙ্গে পেনাংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল দাতো শেখ ইসমাইল হোসেন, দূতাবাসের কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন ও দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।