নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ এক যুগের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে অর্থ সংকটে ভুগছেন বিএনপি নেতারা। আর্থিক সংকট দূর করতে তাই ছিচকে চুরি থেকে শুরু করে বড় ধরণের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন দলটির বিভিন্ন সারির নেতারা।
অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুসারে, বিগত ৫ বছরে সর্বমোট ৮০ হাজার ছোট-বড় অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়িয়েছে বিএনপি নেতারা। যা একটি উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেনি, দুর্নীতির সুযোগ না পাওয়ায় চরম অভাব অনটনে আছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির সকল নেতা চুরি বা ছিনতাই করছেন বিষয়টি এমন নয়। মূলত যে সকল নেতারা রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনো কাজে জড়িত নন, তারাই জড়িয়ে পড়ছেন চুরি এবং ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য কাছে।
International Political Science Association (IPSA) এর মতো আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে ঢাকায় ৩৩ হাজারের মধ্যে ১৭ হাজার, খুলনায় ২২ হাজারের মধ্যে ১২ হাজার, রাজশাহীতে ২০ হাজারের মধ্যে ১১ হাজার, চট্টগ্রামে ১৬ হাজারের মধ্যে ১০ হাজার, সিলেটে ১৫ হাজারের মধ্যে ৮ হাজার এবং রংপুরে ১৪ হাজারের মধ্যে চুরি ছিনতাই জনিত ঘটনায় ৮ হাজার বিএনপি নেতা সরাসরি জড়িত ছিলেন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে চুরি ছিনতাই ও মাদক চোরাচালানের মতো ঘটনায় ১৪ হাজার বিএনপি নেতার জড়িত থাকার খবর পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কথা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে, তিনি অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলে বিভিন্ন স্তরের বিএনপি কর্মীকে সাহায্য চাইতে দেখেছি। অভাবে অনটনে বিএনপির কর্মীরা গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অথচ বিএনপি থেকে যে সব নেতারা সুবিধা নিয়েছিলো, তারা ঠিকই আছে। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। তবে সকলের এও মনে রাখতে হবে, সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপির লাখ লাখ কর্মী রয়েছে। সবার দায় ভার কিন্তু বিএনপি নিতে পারে না। তবে আমরা চেষ্টা করবো, বিএনপির কোনো কর্মী যেন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে।