নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে নির্যাতিত পরীক্ষার্থীর চাচা এস এম মোতাব্বের বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে খাজুরা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন। গত বুধবার (১০ এপ্রিল) উপজেলার বীরকুৎসা বাজারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মন্টুর ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত পরীক্ষার্থীর বাড়ি উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন মন্টু দুর্লভপুর গ্রামের মৃত রহিম সরদারের ছেলে ও খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওর্য়াড সদস্য । সে খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
পরীক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নির্যাতিত মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার জন্য নলডাঙ্গা আসার সময় বীরকুৎসা বাজারে অটোরি´ার জন্য দাড়িয়ে ছিল। এসময় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টু তার নিজ কার্যালয়ের ভিতরে ডেকে নিয়ে জোর করে তার মাস্ক খুলে চুমু খান এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। পরে মেয়েটি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারে সদস্যদেরকে জানায়। ঘটনাটি জানার পর নির্যাতিত পরীক্ষার্থীর চাচা এস এম মোতাব্বের বাদী হয়ে শনিবার রাতে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার চাচা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত শনিবার রাতে আমজাদ হোসেন মন্টুকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।