নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আবাসিক এলাকার মধ্যে মুরগির খামার স্থাপন করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করায় তিন দিনের মধ্যে তা সরিয়েনিতে খামারিকে ফের চিঠি দিয়েছেন ইউএনও। নির্দেশ প্রতিপালন করা না হলে তার খামারটি উচ্ছেদ করা হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল স্বাক্ষরিত চিঠিটি খামার মালিক সুলতান আলীকে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও ইউএনও কার্যালয় থেকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হলেও খামারি তা সরাননি।খামারির দাবি অন্যত্র স্থানান্তরের কোন জমি তার নেই। ইউএনও কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামের সুলতানুল ইসলাম চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মুরগির খামার নির্মাণ করেন। কিছুদিন পরই খামারের মুরগির বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামার সংলগ্ন প্রতিবেশী রাজিবুল ইসলাম বাবু পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হতে শুরু করেন। এঅবস্থায় তারা ইউএনও, জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর লিখিতঅভিযোগ করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও’র নির্দেশেতৎকালীন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অভিমান্যু চন্দ্র সরেজমিনে তদন্ত করেন। তিনি অভিযোগের সত্যতা পান উল্লেখ করে খামারটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সুপারিশসহ ইউএনও’র কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ইউএনও নাসরিন বানু গত ৯ এপ্রিল ও ২৪ এপ্রিল দু’দফায় খামারটি অন্যত্র স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেন। কিন্তু সেইনির্দেশও পালন করেননি খামারি সুলতান আলী। সবশেষে সোমবার২৪ জুন সর্বশেষ নির্দেশ হিসেবে চিঠিটি পাঠানো হয়।অন্যথায় আগামী ৩০ জুন ওই খামারটি উচ্ছেদ করা হবে বলে চিঠিতে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগকারী রাজিবুল ইসলাম বাবু বলেন, তার বাড়িঘেঁষে খামারটি নির্মাণ করায় তাদের পরিবারের সদস্যরা অসুস্থহয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের পরিবারের সদস্যদেরবিরুদ্ধে মুরগি চুরির মামলা করেছিলেন খামারি। তদন্ত শেষে মিথ্যামামলা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন পেশ করে থানা পুলিশ। খামারি সুলতান আলী সাংবাদিকদের বলেছেন, অন্য কোথাও তার জমিনা থাকায় খামারটি তিনি স্থানান্তর করতে পারছেন না।
ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, খামারিকে তার মুরগীর খামারসরিয়ে নিতে তিন দিনের সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনিএ নির্দেশ প্রতিপালন না করলে তা উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।