নিউজ ডেস্ক:
ঈদ যে দেশের বাইরে করতে হবে সেটা তো আগে থেকেই জানা ছিল। তাই পেসার রুবেল হোসেন দেশ ছাড়ার আগেই দুটি পাঞ্জাবি রেখেছিলেন ব্যাগে। মোসাদ্দেক হোসেনও তাই করেছিলেন। মেহেদি হাসান মিরাজের প্রিয় পোশাকরই তো পাঞ্জাবি।
মাহমুদউল্লাহ বা মুশফিকুর রহিমের জন্যও দেশের বাইরে ঈদ করা নতুন কিছু নয়। বিশ্বকাপের মাঝেই ঈদ উৎসব-এটা জেনে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এবারের ঈদের আনন্দ একসঙ্গে উদযাপন করতে পরিবারকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। তবে এই বিদেশ সফরে পরিবার পরিজন অনেকের সঙ্গে থাকলেও ঈদের দিনেও ক্রিকেটারদের ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে!
ইংল্যান্ডে মঙ্গলবার সকালে ঈদের নামাজ পড়ে ক্রিকেটাররা হোটেলে ফিরে আসেন। দুপুর পর্যন্ত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন তারা। কিন্তু বিকেলেই অনুশীলনু! অনুশীলনে যোগ দিতে পুরো দলের ওভালে যাওয়ার নির্ধারিত সূচি আছে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অংশ নেবেন। ওভালের ফ্লাডলাইটের আলোতে দল অনুশীলন করবে। ৫ জুন এই মাঠে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটা যে দিবারাত্রীর।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দল থাকাকালীন বন্দুক হামলা হয়েছে একাধিক মসজিদে। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক আইসিসি। বিশ্বকাপের বেলায় তা আরও বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। লন্ডনে বাংলাদেশ দল কোথায় ঈদের নামাজ পড়েছে তা আগে থেকে জানানো হয়নি। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেটি যথাসম্ভব গোপন রাখছে আইসিসি ও স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থা।