ডেস্ক নিউজ
দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন অপরাধী র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ‘চুরির অভিপ্রায়’ থেকেই তারা এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটান বলে তারা র্যাবকে জানিয়েছে।তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আরও সময় প্রয়োজন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে র্যাব।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় রংপুর নগরের র্যাবের এর নগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে,গত বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানার পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করে আসাদুলকে। তাঁকে রংপুর রেঞ্জের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে দিনাজপুরের র্যাবের সদস্যরা জাহাঙ্গীর হোসেনকে তাঁর নিজ বাসা থেকে আটক করেন।
আজ শুক্রবার পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মূল হামলাকারী ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৭) এবং উপজেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুল ওরফে আরশাদুল ইসলাম (৩৫), ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মাসুদ রানা (৪০)। আটকের পর-পরই শুক্রবার ওই তিন জনকেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল তাদের বহিষ্কার করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তারা পেয়েছেন। আটককৃত অপরজনের নাম নবিরুল ইসলাম (৩৮)। তিনি পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। তার কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত একটি হাতুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত পর্যবেক্ষণ করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ধারণা করছে, ভবনটির দ্বিতীয় তলায় শোবার ঘরের সঙ্গে সংযুক্ত টয়েলেটের ভেন্টিলেটরের কাঁচ সরিয়ে হামলাকারীরা ভেতরে প্রবেশ করে এবং হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালায়।
ঘটনার তদন্তে এর মধ্যে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে এরইমধ্যে রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ইউএনওদের নিরাপত্তায় ১০ জন করে অস্ত্রধারী আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।