করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল খোলা না গেলে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন। আজ রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের তথ্য ও কর্মসূচি জানানো
সংবাদ সম্মেলন সাক্ষরতা দিবসের তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। যা ২০০৫ সালে ছিল ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয় খোলা ও পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সচিব আকরাম-আল-হোসেন। তিনি বলেন, শি’শুদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেটা দেখে তাঁরা এগোচ্ছেন। অক্টোবর ও নভেম্বর মা’থায় নিয়ে দুটি পরিকল্পনা আছে। যদি অক্টোবরে বিদ্যালয় খোলে, তাহলে এক ধরনের চিন্তা। যদি নভেম্বরে খোলে তাহলে মূল্যায়নের জন্য আরেক ধরনের চিন্তা আছে। আর যদি বিদ্যালয় না খোলা যায়, তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা হবে না।
সচিব বলেন, এখন যেহেতু বিদ্যালয় বন্ধ, তাই শি’শুদের বাড়িতে মিড ডে মিলের বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় খোলার আগে প্রতিটি বিদ্যালয় পরিকল্পনা করবে।
করো’নার কারণে ১৭ মা’র্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ কারণে এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, এ বছর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অর্থের অভাবে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শিশুরা যেন ঝরে না পড়ে, সে জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেন তাদের ভর্তি করা হয়। আমাদের পরিকল্পনা সফল হলে আমরা ড্রপআউট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
এ সময় ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের কর্মসূচি জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।