নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হলেন নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন হত্যা মামলায় গত ১৩ র্মাচ সোমবার উচ্চ আদালতে জীমন আবেদন করলে উচ্চ আদালত জামিন দেন।উচ্চ আদালতের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র নাটোর কারাগারে পৌছলে সোমবার(২০ মার্চ) বিকাল ৪ টার দিকে নাটোর কারাগার থেকে জামিনে কারামুক্তি দেওয়া হয়।নাটোর কারাগার সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নাটোর জেল গেট থেকে এ সময় নিতে আসেন চেয়ারম্যানের পরিবার ও তার সমর্থক নেতা কর্মিরা।
উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন হত্যা মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামী হয়ে ও একটি মারামারি মামলার আসামী হয়ে কারাগারে ছিলেন।চেয়ারম্যানের দুই ভাই ফয়ষাল শাহ ফটিক এবং আলিম আল রাজির এ মামলার অভিযুক্ত আসামী হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
নলডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়া কে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর আমতলী বাজারে ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবনকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
এসময় জামিউল আলীম জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেন ছেলেকে বাচাঁতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।আহত অবস্থায় জামিউল আলীম জীবন ও তার বাবা ফরহাদ শাহকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ঘটনার ৫ দিন পর ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিউইতে ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন মারা যায়।এ ঘটনায় জামিউল আলীম জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার দুই ভাই ফয়ষাল শাহ ফটিক এবং আলিম আল রাজিকে আসামী করে নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে চলতি বছরের গত ৩১ জানুয়ারী নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার দুই ভাই ফয়ষাল শাহ ফটিক এবং আলিম আল রাজিকে অভিযুক্ত আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন নলডাঙ্গা থানার এস আই মানিক কুমার চৌধুরী।এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার আপন দুই ভাই কারাগারে ছিলেন।