নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় ভুয়া এনজিও খুলে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মুলহোতা জহুরুলসহ ৪ জন কে আটক করেছে র্যাব।বুধবার রাতে ভুক্তভোগিদের অভিযোগে নাটোর ক্যাম্পের র্যাব-৫ অভিযান চালিয়ে তাদের ৪ জন আটক করে নলডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।পরে থানা পুলিশ প্রতারনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি গ্রামের জেহের আলীর ছেলে মুলহোতা জহুরুল ইসলাম (২৮),বাসুদেবপুর সাজিপাড়া গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে এ্যাডমিন অফিসার মওদুদ রহমান মধু (৫২),পূর্ব মাধনগর গ্রামের মৃত হারুন রশিদের ছেলে এ্যাডমিন অফিসার বাবুল হক বাবু (৫৮),একই গ্রামের শ্রী দেবতী প্রামামিকের ছেলে অফিস সহকারী শ্রী প্রকাশ চন্দ্র (৪৮)।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান,নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যা হাজেরা বেগমের বাড়ি ভাড়া নিয়ে জে,এন্ড,জে টে´টাইল ও নদী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং সেনা কল্যান সংস্থার নামে অনুমোদনহীন ভুয়া এনজিও খুলে হাজার হাজার গ্রাহকদের ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা অত্মসাৎ করে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগিরা টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক চক্ররা তাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।নিরুপায় হয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগি র্যাব-৫ অভিযোগ দিলে গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল ইসলামসহ ৪ জন আটক করে বৃস্পতিবার নলডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে।ভুক্তভোগি উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।বৃস্পতিবার সেই মামলায় আটককৃত ৪ জন কে বৃস্পতিবার সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে শুনানি শেষে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগে প্রতারণার শিকার শত শত গ্রাহক টাকা ফেরত পেতে নলডাঙ্গা থানা ঘেরাও করেছিল।সেই সময় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলা হয়েছিল।