নিজস্ব প্রতিবেদক:
অজ্ঞাত ও বহিরাগত ট্রেন যাত্রী কর্তৃক ট্রেনের টিটিকে পেটানোর মামলায় রহস্যজনক কারনে নাটোরের নলডাঙ্গা ষ্টেশন বাজারের ৫ সুনামধর্মী দোকান ব্যবসায়ীকে কোমরে দড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করে ঘটনার সাথে জড়িত মুল আসামীকে গ্রেপ্তারে সহায়তার মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে সান্তাহার রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ।১৯ জুন বুধবার বিকালে নাটোর রেলষ্টেশন থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিনা অপরাধে সুনামধর্মী ৫ ব্যবসায়ীকে এইভাবে হয়রানি করার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে নলডাঙ্গা ষ্টেশন বাজার ব্যবসায়ীরা। বৃস্পতিবার দুপুরে নলডাঙ্গা প্লাটফর্মে শতাধিক দোকান মালিকরা দোকান বন্ধ করেন বনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে সহায়তা চেয়েছেন।এর আগে বুধবার রাতে ব্যবসায়ীরা পুলিশি হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির শরণাপন্ন হন। স্থানীয় দোকান ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ট্রেনের টিটিকে পেটানোর ঘটনায় বহিরাগত অজ্ঞাত ট্রেন যাত্রী ও কয়েক যুবক জরিত থাকতে পারে।তাদের শনাক্ত না করে ৫ সুনামধর্মী দোকান ব্যবসায়ীকে কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে ও হাত কড়া পরিয়ে রেল পুলিশ কেন গ্রেপ্তার করে হয়রানি করল।এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ওই সব রেল পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবী জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।হয়রানির শিকার পেপার হাউসের মালিক লতিফুর রহমানের বাবা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইয়াচিন-উর-রহমান জানান,গ্রেপ্তারের কারন জানতে চাইলে তা না জানিয়ে ব্যবসায়ীদের কোমরে দড়ি ও হাত কড়া পরিয়ে দ্রুত টানতে টানতে নিয়ে যায়। রেল পুলিশের হয়রানির শিকার আরেক দোকান ব্যবসায়ী অরবিন্দু ও শিবনাথ, নছির উদ্দিন জানান, আমাদেরকে দোকান থেকে জোর করে বের করে দোকান ঘর বন্ধ করার সুযোগ না দিয়ে কোমরে দড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেছে। ট্রেনের টিটিকে পেটানোর ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা আমরা জানিনা।তারা আরোও জানান,এ ঘটনার সাথে প্রকৃত অর্থে কারা জড়িত তা উদঘাটন করার শর্তে আমাদের মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এটা কিআমাদের দায়িত্ব প্রশ্ন রেখেছে ওই হয়রানির শিকার ৫ ব্যবসায়ী। সান্তাহার রেলওয়ে জিআরপি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান,গত ঈদুল ফিতরের আগে সন্ধ্যায় বেসরকারী মালিকানা খুলনা হতে চিলাহাটীগামী ২৩ নং রকেট মেইল ট্রেনের টিটির সাথে স্থানীয় এক যাত্রীর ট্রেনের টিকিট দেখানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গতঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে ওই ট্রেন নলডাঙ্গা রেল ষ্টেশনে থামলে টিটিকে পিটিয়ে জখম করে ট্রেনের জানালা ভাংচুর করে টিটিদের ৪টা মোবাইল ও নগদ ২৪ হাজার টাকা ছিনতাই করে।এতে ট্রেনের যন্ত্রাংশসহ ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।এ ঘটনায় গত ১৮ জুন মঙ্গলবার ওই ট্রেনের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরোও ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।ওই তদন্তকারী উপ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বৃস্পতিবার আরোও জানান, এ মামলায় অজ্ঞাত আরোও ১৫ জন আসামী করা হয়েছে। এই অজ্ঞাত হিসেবে নলডাঙ্গা বাজারের পেপার হাউজের মালিক লতিফুর রহমান, মর্ডান কসমেটিকের মালিক নছির উদ্দিন,অরবিন্দু ফল ভান্ডারের মালিক অরবিন্দু, ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক শিবনাথ ঘোষ,মুদিখানা ব্যবসায়ী কামাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পরে তাদের নাটোর রেল ষ্টেশন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অজ্ঞাত আসামী হিসেবে যে কাউকে গ্রেপ্তারের রেল পুলিশের আইনে আছে কিনা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোমরে দড়ি বেধে ও হাতকড়া পরিয়ে কেন টেনে হিসরে নিয়ে যাওয়া হল প্রশ্নে উপ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম আরোও জানান,আমরা অজ্ঞাত আসামী হিসেবে যে কাউকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা আমাদের আছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোমরে দড়ি বেধে ও হাতকড়া পরিয়ে নেয়ার প্রশ্নের সুমুদয় উত্তর দিতে পারেননি।