নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় হাসুয়ার কোপে আহত যুবক শহিদুল ইসলাম রবিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। গত ৫ আগষ্ট গাছের পাতা কাট নিয়ে বিবাধের জেরে পাট কাটা হাসুয়ার কোপে শহিদুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরের দিন নিহতের পিতা ইউনুস আলী বাদী হয়ে সোহেল ও তার স্ত্রী তারা বেগমকে আসামী করে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৭ আগষ্ট অভিযুক্ত সোহেল ও তার স্ত্রী তারা বেগমকে প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজধানীর কামডাঙ্গানীর চর এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের সরকুতিয়া ভাটোপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। অভিযুক্ত সোহেল একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজন এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশের সড়কের ছাগলের জন্য গাছের পাতা কাটা নিয়ে শহিদুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী ভ্যান চালক সোহেল রানার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই দিন বিকালে শহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে তালতলা বাজারে যাওয়ার পথে গেলে সোহেল ও তার স্ত্রী শহিদুলের পথরোধ করে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার পায়ে ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজধানীর কামডাঙ্গানীর চর এলাকা থেকে গত ১৭ আগষ্ট অভিযুক্ত ভ্যান চালক সোহেল রানা ও তার স্ত্রী তারা বেগমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। শহিদুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থেকে রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই মারা যান।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা ইউনুস আলী বাদী হয়ে সোহেল রানা ও তার স্ত্রী তারা বেগমকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।