নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমানের দ্বারা যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন কার্যালয়ের এম.এল.এস.এস স্বাস্থ্য কর্মি। এ ঘটনার বিচার দাবী করে নাটোরের সিভিল সার্জন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মি। যৌন হয়রানীর শিকার স্বাস্থ্য কর্মি নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি। আর ঘটনাটি কাউকে জানালে বেতন বন্ধ সহ বিভিন্ন হুমকিও দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত ২৯ নভেম্বর বুধবার এমন অভিযোগ করেন ওই স্বাস্থ্য কর্মি। এমন অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে স্বাস্থ্য বিভাগের নারী কর্মিদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। সেই সাথে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও চাকুরী হারানো বা বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে মুখ খুলছেন না।
লিখিত অভিযোগে ওই স্বাস্থ্য কর্মি উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয় নাটোর সদরে যোগদান করে অদ্যবধি কর্মরত আছেন তিনি। গত ২৭ নভেম্বর বেলা আনুমানিক ১২ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান তার অফিস কক্ষে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পরে তিনি স্যারের নির্দেশে কক্ষে প্রবেশ করলে স্যার বিভিন্ন ধরনের অশালীন কথা বলতে শুরু করেন। এরপর তিনি তাকে খারাপ কাজ করতে বলেন এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে জোরপূর্বক হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করা সহ অনেক নোংরা কাজ করেছেন। এসব কাজে বাধা দিলে তিনি বলেন তার কথা না শুনলে আমার বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। পরে সে তার কক্ষ থেকে জোর করে বের হয়ে চলে যায়। কর্মস্থলে এমন যৌন হয়রাণীর সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে দাবি জানান তিনি।
এমন ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমানের ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর ০১৭২৫৫২৫৪০১ এ একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যপারে নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ মশিউর রহমান জানান, কর্মকর্তা দ্বারা যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন কার্যালয়ের এম.এল.এস.এস স্বাস্থ্য কর্মি। এমন একটি লিখিত অভিযোগ পত্র ২৯ নভেম্বর তিনি পেয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।