পরিপক্ক আম প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাটোরে আনুষ্ঠানিকভাবে গাছ থেকে আম সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের একটি আম বাগান থেকে গোপালভোগ জাতের আম পাড়ার মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ গাছ থেকে এই আম পাড়ার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, আম চাষী মেহেদী হাসান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, নাটোরে চলতি বছরে পাঁচ হাজার ৫২০ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৮০ হাজার টন আম উৎপাদন হবে। যার বাজার মুল্যে প্রায় পৌনে তিনশ কোটি টাকা হবে। দীর্ঘসময় সংরক্ষণ, কষের মাধ্যমে পচন রোধ ও পরবর্ত্তীতে গাছে কুশি বের হওয়ার সুবিধার জন্য বোটসহ আম পাড়তে কৃষকবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন,করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকলের বেশী করে শাক-সব্জি ও ফল খাওয়া উচিৎ। দেশীয় সুস্বাদু ফল আম এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আম চাষীদের আম সংগ্রহ এবং এর বিপনন ও পরিবহন কার্যক্রমে কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন তা নিরসন করবে। উল্লেখ , জেলায় আম সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে। ৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলায় গাছ থেকে আম ও লিচু সংগ্রহের সময়সূচী নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ২০ মে থেকে গোপালভোগ আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এই সময়সূচীর অনুসরণ শুরু হবে। পরবর্ত্তীতে ২৫ মে থেকে স্থানীয় দেশীয় জাতের গুটি ও বৈশাখী আম, ২৮ মে থেকে রাণী পছন্দ ও ক্ষীরসাপাত, ১ জুন থেকে লক্ষণভোগ ও মহান্দা, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ৭ জুন থেকে কাঁচামিঠা, ১৫ জুন থেকে দুধসর, কার্ডিমন ও মোহনভোগ জাতের আম, ১৬ জুন থেকে কৃষাণভোগ, ২০ জুন থেকে হাড়িভাঙ্গা আম, ৩০ জুন থেকে আম্রপালী, মল্লিকা ও ফজলী, ১৫ জুলাই থেকে বারি-৪, ২০ জুলাই থেকে আশ্বিনা জাতের আম এবং সর্বশেষ ১৫ আগষ্ট থেকে গৌড়মতি আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সূচীর বাইরে আগে কোন জাতের আম ও লিচু গাছে পরিপক্ক হলে উপজেলা কৃষির বিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষক বা ব্যবসায়ী গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন।