১৫ দফা দাবী আদায়ের কর্ম বিরতি শুরুর আগেই নাটোরে পেট্রোল পাম্পগুলো জ্বালানী তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কতৃপক্ষ। একশ টাকার বেশী তেল বিক্রয় নাই বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে নাটোরের বেশ কয়েকটি পেট্রোল পাম্পে। এছাড়াও অনেক পাম্পেই বিক্রয় বন্ধও করে দিয়েছে। তবে কয়েকটি পাম্পে দই থেকে তিনশ টাকার তেল দেওয়া হচ্ছে দেখা গেছে। তবে কি কারনে ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি করা হচ্ছে না তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি পাম্প কতৃপক্ষ। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারন মানুষ।
নাটোর শহরের স্টেশন বাজার এলাকার ফ্রেন্ডস ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে আসা এক ব্যবসায়ী নাজমুল আহসান শাওনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই পাম্পে তেল নিতে এসেছেন। সকালে তাকে ব্যবসার কাজে অনেক কয়েকটা স্থানে মোটর সাইকেল চালিয়ে যেতে হবে। এখন পাম্পে এসে তিনি জানতে পারেন একশ টাকার বেশী তেল দেওয়া হবেনা। সে যে বাইকটি ব্যবহার করেন তাতে তেল খরচ অনেক বেশী হয়। এতোদুর পথ এসে একশ টাকার তেল নিয়ে ফিরে গেলে তার তেল নিতে আসাটাই লোকসান হলো বলে মনে করেন তিনি। যেহেতু তার জরুরী প্রয়োজন সেকারনে তাকে এখন বিভিন্ন পাম্পে গিয়ে গিয়ে খুচরা খুচরা করে তেল নিবে হবে। এতে করে তার হয়রানী হতে হবে। এভাবে সাধারন মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা পাম্প মালিকদের উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এমন অভিযোগ ওই পাম্পে তেল নিতে আসা আরো অনেক ক্রেতার। তাদের দাবী এভাবে সাধারন মানুষকে হয়রানী না করে তাদের চাহিদা মাফিক তেল সরবরাহ করা হোক।
এবিষয়ে ওই পাম্পের তেল সরবরাহ করা এই কর্মচারীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তাদের তেলের স্টক কম রয়েছে। সেকারনে মালিক বলেছে প্রতিটি গাড়ীতে এক লিটারের বেশী তেল না দিতে। তারা তাদের মালিকের কথামত তেল দিচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে নাটোর জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ রফিকুল প্রামানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ রাতে তেল কম বিক্রির বিষয়ে তার কিছুই জানা নাই। একজন পাম্প মালিক কেন তলে কম দিচ্ছে ক্রেতাদের তা তার নিজস্ব ব্যাপার। তবে যদি কোন ক্রেতাকে হয়রানীর জন্য এমন করা হয় তাহলে তা ঠিক কাজ নয়। তাদের কর্ম বিরতি শুরু হবে ভোর ৬টা থেকে। এর আগে পাম্পে তেল থাকলে তা সঠিক দামে এবং ক্রেতার চাহিদা হিসেবে তা দিতে হবে। কর্ম বিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেন্দ্রীয়ভাবে রাজশাহী সহ তিনটি বিভাগের জেলাগুলাতে অনির্দিষ্ঠকালের জন্য কর্ম বিরতির ঘোষনা দেওয়া হয়ছে। সেই ঘোষনা হিসেবে তারা তাদের কর্মসুচি পালন করবেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসুচি চলবে।