নাটোরে গুরুদাসপুরে ফোন পেয়েই প্রায় এক কিলোমিটার কদমাক্ত পথ পেরিয়ে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আজ শনিবার রাতে উপজেলার চাপিলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুদাসপুে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের সংকটকালীন সময়ে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীটির অমতে তার অভিভাবকরা বিয়ের আয়োজন করেছিল। বিয়ের বয়স হয়েছে বলে ডেকে আনা হয় ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজী আশরাফুল আলমকে। কাজী এসেই মেয়েকে দেখতে চান এবং তার পরিবারের কাছে মেয়ের জন্ম সনদের প্রত্যয়ন পত্র দেখতে চায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে কাজীকে বলা হয় মেয়ের বয়স একটু কম আছে আপনি বিয়েটা পড়িয়ে দেন। পরিবারের লোকজনের এমন কথাবার্তার মধ্যে মেয়েটি সবার অগোচরে কাজীকে বিয়েটি বন্ধ করার অনুরোধ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকেই কাজী কৌশলে তাকে (ইউএনও) ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। ফোন পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে মেয়েকে বাল্য বিয়ে দেবেনা বলে মুচলেকা দেয় মেয়ের বাবা মা। দরিদ্র পরিবারের মেয়েটির পড়াশোনা করতে যেন কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়া হয়।
সেই সাথে তাৎক্ষণাৎ কিছু নগদ অর্থ মেয়েটির হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন যেভাবে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছে এই মেয়ে ঠিক এমন করেই যদি সকলে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তাহলে সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ শব্দটাই শেষ হয়ে যাবে। এছাড়াও তিনি সকল অভিভাবদের কাছে অনুরোধ জানান যেন তারা তাদের সন্তানদের বাল্য বিবাহ না দেন। বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে জানতে এবং সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।